This blog is travel experiences and managing budget travel to European countries. The language is in Bengali.
শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০
বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০
অনুগল্প
প্রতিঘাত
কেয়া চ্যাটার্জী
অজিতের নিথর শরীরটার দিকে এক দৃষ্টে চেয়ে আছে পূর্বা। একবছরের বিবাহিত জীবনে সমাপ্তি ঘটল। পাশে দাঁড়ানো অফিসার তাঁর মহিলা সহকর্মীকে ইশারায় উঠিয়ে নিয়ে যেতে বললেন পূর্বাকে। শেখর চিৎকার করে বলে উঠল, “না না অফিসার বৌদিকে নিয়ে যাবেন না। ও তো জ্ঞানত কিছু করেনি। এর আগেও ও ঘুমের মধ্যে হেঁটে বেরিয়েছে, কথা বলেছে। আমরা কতো হাসাহাসি করেছি। সকালবেলা কিন্ত ওর কিছু মনে পড়তো না। বিশ্বাস করুন।” অফিসার বিরক্ত হয়ে বললেন, “আরে মশাই, আপনার কথার ভিত্তিতে কি ওঁকে ছেড়ে দিতে পারি। এত বড় একটা কেস। সরুন তো। আমাদের কাজ করতে দিন।” নিজের স্বামীকে গলা টিপে খুন করার অপরাধে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হলো পূর্বাকে। জেল হেফাজতে থাকাকালীন ডাক্তারি পরীক্ষা নিরীক্ষায় জানা গেল তার সপ্লিট পার্সোনালিটি আছে। ঘুমের মধ্যে সে আলাদা এক মানুষ। জেগে থাকলে সব কিছুই স্বাভাবিক। দীর্ঘ একবছর বিচার চলে। পুলিশ হাসপাতালে রেখে চিকিৎসার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হলো। পূর্বা আর ফেরেনি শশুর বাড়ি। নিরীহ মানুষগুলোকে ঠকিয়ে কি লাভ! অন্যায় নিশ্চই করেছে সে। খুন করেছে। একটা মানুষকে মেরে ফেলেছে। শাস্তি পাবে না? কিন্তু মৃত মানুষটা কি নিরপরাধ ছিল? পূর্বার চোখে ভেসে উঠল শ্রীতমার মৃত শরীর। বোকা মেয়েটা ভালোবেসেছিল অজিতকে। কিন্তু অজিতের শরীরে ছিল যৌবনের সর্বগ্রাসী আগুন। সেই আগুনে পুড়ে গেল শ্রীতমার জীবন। সন্তান সম্ভবা মেয়েটাকে অস্বীকার করলো অজিত। তখন আর ফিরে যাওয়ার পথ নেই মেয়েটার। পূর্বা অনেক চেষ্টা করেছিল বোঝানোর, রুখে দাঁড়ানোর সাহস জুগিয়েছিল কিন্তু শেষ পর্যন্ত লড়াই চালাতে পারল না শ্রী। পাশে পেল না পরিবারকে। শেষে একদিন গলায় ফাঁস দিয়ে...
পূর্বা একটা তৃপ্তির নিঃশ্বাস নিল। অজিতের চোখে মৃত্যুর ভয়টা তাকে তৃপ্তি দেয়। অজিত জেনে গেছে কোন অপরাধে তার এই শাস্তি। তিন বছর ধরে প্ল্যান করে শ্রীর মৃত্যুর দিনটাকেই বেছে নিয়েছিল পূর্বা কাজটা করার জন্য। তার পাশে কি তার পরিবার থাকবে আর? তার গায়ে যে খুনের প্রলেপ লেগে আছে। হয়তো না, হয়তো হ্যাঁ। তবে যেটাই হোক প্রতিঘাতটা খুব দরকার ছিল। ভীষণ দরকার ছিল। যেখানে বিচারের হাত পৌঁছয় না, যেখানে প্রতিবাদের শব্দ কড়া নাড়ে না সেখানে প্রতিশোধই একমাত্র উপায়। পূর্বা এগিয়ে চলল নতুন জীবনের পথে, হয়তো একাই।
কেয়া চ্যাটার্জী
অজিতের নিথর শরীরটার দিকে এক দৃষ্টে চেয়ে আছে পূর্বা। একবছরের বিবাহিত জীবনে সমাপ্তি ঘটল। পাশে দাঁড়ানো অফিসার তাঁর মহিলা সহকর্মীকে ইশারায় উঠিয়ে নিয়ে যেতে বললেন পূর্বাকে। শেখর চিৎকার করে বলে উঠল, “না না অফিসার বৌদিকে নিয়ে যাবেন না। ও তো জ্ঞানত কিছু করেনি। এর আগেও ও ঘুমের মধ্যে হেঁটে বেরিয়েছে, কথা বলেছে। আমরা কতো হাসাহাসি করেছি। সকালবেলা কিন্ত ওর কিছু মনে পড়তো না। বিশ্বাস করুন।” অফিসার বিরক্ত হয়ে বললেন, “আরে মশাই, আপনার কথার ভিত্তিতে কি ওঁকে ছেড়ে দিতে পারি। এত বড় একটা কেস। সরুন তো। আমাদের কাজ করতে দিন।” নিজের স্বামীকে গলা টিপে খুন করার অপরাধে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হলো পূর্বাকে। জেল হেফাজতে থাকাকালীন ডাক্তারি পরীক্ষা নিরীক্ষায় জানা গেল তার সপ্লিট পার্সোনালিটি আছে। ঘুমের মধ্যে সে আলাদা এক মানুষ। জেগে থাকলে সব কিছুই স্বাভাবিক। দীর্ঘ একবছর বিচার চলে। পুলিশ হাসপাতালে রেখে চিকিৎসার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হলো। পূর্বা আর ফেরেনি শশুর বাড়ি। নিরীহ মানুষগুলোকে ঠকিয়ে কি লাভ! অন্যায় নিশ্চই করেছে সে। খুন করেছে। একটা মানুষকে মেরে ফেলেছে। শাস্তি পাবে না? কিন্তু মৃত মানুষটা কি নিরপরাধ ছিল? পূর্বার চোখে ভেসে উঠল শ্রীতমার মৃত শরীর। বোকা মেয়েটা ভালোবেসেছিল অজিতকে। কিন্তু অজিতের শরীরে ছিল যৌবনের সর্বগ্রাসী আগুন। সেই আগুনে পুড়ে গেল শ্রীতমার জীবন। সন্তান সম্ভবা মেয়েটাকে অস্বীকার করলো অজিত। তখন আর ফিরে যাওয়ার পথ নেই মেয়েটার। পূর্বা অনেক চেষ্টা করেছিল বোঝানোর, রুখে দাঁড়ানোর সাহস জুগিয়েছিল কিন্তু শেষ পর্যন্ত লড়াই চালাতে পারল না শ্রী। পাশে পেল না পরিবারকে। শেষে একদিন গলায় ফাঁস দিয়ে...
পূর্বা একটা তৃপ্তির নিঃশ্বাস নিল। অজিতের চোখে মৃত্যুর ভয়টা তাকে তৃপ্তি দেয়। অজিত জেনে গেছে কোন অপরাধে তার এই শাস্তি। তিন বছর ধরে প্ল্যান করে শ্রীর মৃত্যুর দিনটাকেই বেছে নিয়েছিল পূর্বা কাজটা করার জন্য। তার পাশে কি তার পরিবার থাকবে আর? তার গায়ে যে খুনের প্রলেপ লেগে আছে। হয়তো না, হয়তো হ্যাঁ। তবে যেটাই হোক প্রতিঘাতটা খুব দরকার ছিল। ভীষণ দরকার ছিল। যেখানে বিচারের হাত পৌঁছয় না, যেখানে প্রতিবাদের শব্দ কড়া নাড়ে না সেখানে প্রতিশোধই একমাত্র উপায়। পূর্বা এগিয়ে চলল নতুন জীবনের পথে, হয়তো একাই।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যসমূহ (Atom)
ল্যুভ মিউজিয়াম
#ঘরকুণোর_বিদেশ_যাত্রা #কেয়া_চ্যাটার্জি প্যারিস পর্ব • #ল্যুভর মিউজিয়াম ও প্যারিসের একটি সন্ধ্যে ১১৯০ খ্রিস্টাব্দ যখন প্যারিস শহরটি এতটা বিস...
-
Old English Literature/ Anglo Saxon Period [450-1050 ] Anglo Saxon যুগের একটি অন্যতম কাব্য Beawulf। কিন্ত old english যুগীয় সাহিত্যক...
-
History of English literature : The Age of Chaucer : একটি দেশের সাহিত্য সেই দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে এগিয়ে চল...
-
একেবারে নতুন একটা ভ্রমণ মূলক ধারাবাহিক শুরু করলাম আজ। এই লেখার পাশাপাশি চলবে 'ওজন বাড়ান' ধারাবাহিকটিও। তাই ওজন বাড়ানের পাঠকরা হতাশ ...

